বইয়ের নামঃ The Time Machine
লেখকঃ Herbert George Wells
পার্সনাল রেটিং-9.5/10
আমি একরকম বইয়ের পোকা হলেও ইংরেজি বই পড়তে কেমন জানি অনীহা ছিল। ইংরেজি বই শুরু করলেই যেন বিরক্তি এসে ঘিরে ধরত আমায়। তাই পারতপক্ষে ইংরেজি বই কিনতাম না। কিন্তু সেবার ঢাকা যাওয়ার পর মনে হল নীলক্ষেত থেকে ঘুরে আসি। আর গিয়েই যে বইটা প্রথম নজরে এলো তা হল H.G.Wells এর লেখা The Time Machine বইটা। বাসায় এসেই পড়া শুরু করলাম। কিন্তু এইবার আর বিরক্তি রইলো না। কেমন যেন একটা উত্তেজনা কাজ করতে লাগলো প্রতি পৃষ্ঠা শুরু করার আগে। এক নিশ্বাসে পড়ে শেষ না করে উঠতে পারলাম না। আজ সেই বইটার রিভিউ দিচ্ছি।
একজন অজানা ব্যক্তি শুরুতে তার এক টাইম ট্রাভেলারের সাথে দেখা হওয়ার ঘটনা বলতে শুরু করেন।তার নাম পুরো বইয়ের কোথাও লেখক উল্লেখ করেন নি।ঘটনা বলার এক পর্যায়ে লেখন টাইম ট্রাভেলারকে স্বয়ং বক্তার আসনে বসিয়ে দেন। বইটি মূলত টাইম মেশিন নিয়ে টাইম ট্রাভেলারের জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে লেখা। বইটা পড়তে পড়তে তুমি টাইম মেশিনে চড়ে হারিয়ে যাবে ৮০০০০০বছর পরের পৃথিবিতে। কিন্তু সেই পৃথিবী এখনকার পৃথিবীর মত নয়। বরং অনেকটাই আলাদা। সেই পৃথিবীতে বাস করে ‘ইলয়’ এবং ‘মরলক’ নামের দুই
শ্রেণির জীব যারা মানুষের ভবিষ্যত বংশধর। ইলয় শ্রেণির লোকেরা শিশুদের মত সরল। তারা হল এমন অবস্থার ফলাফল যখন কারো পৃথিবীতে কোনো দায়িত্ব বা কর্তব্য নেই।যখন পৃথিবীতে নতুন কিছু আসার প্রয়োজন নেই।তাদের জন্য তখন পর্যন্ত সকল্ কিছুই আবিষ্কার হয়ে গেছে।তাদের কোনো অভাব নেই। এই শ্রেণির লোকেদের মধ্যে দিয়ে well’s পৃথিবীর ক্রমে উন্নত হওয়ার বিষয়ে দূরদর্শীতা দেখিয়ে
ছেন। তিনি চিত্রায়ন করেছেন আধুনিক পৃথিবীর সর্বশেষ সভ্যতাকে। অন্যদিকে মরলকরা হেঁটেছে বিবর্তনের উলটোপথে। তারা মাটির নিচের পাইপগুলোতে থাকে। তারা দৈহিকভাবে শক্তিশালী হলেও মানবিকতা বিবর্জিত। তাদের মধ্যে কোনো মনুষ্যত্বই অবশিষ্ট ছিল না।তারা প্রকৃতির সৌন্দর্যগুলোর সংস্পর্শে না আসায় ধীরে ধীরে বনমানুষে পরিণত হয়। আমাদের গল্পের নায়ক অর্থাৎ টাইম ট্রাভেলার ভুল করে সেই সময়ে তার টাইম মেশিন নিয়ে হাজির হয়। সেখানে গিয়ে প্রথমেই তার সংঘর্ষ হয় মরলকদের সাথে। হারিয়ে যায় টাইম মেশিনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আবার সেই হারানো অংশ খুজতে খুজতে তার পরিচয় ঘটে এক নারী ইলয় এর সাথে। সে তাকে সাহায্য করতে চায়। কিন্তু ইলয়রাও তো ভয় পায় ভয়ঙ্কর মরলকদের।। তাহলে কিভাবে উদ্ধার হবে সেই যন্ত্রাংশ?
কিভাবে বাড়ি ফিরবে টাইম ট্রাভেলার? ইলয়রা কি পারবে মরলকদের পরাজিত
করতে?
এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে আজই পড়ে ফেল ১৮৯৫ সালে লেখা The Time Machineবইটি। পড়ে জানাও কেমন লাগলো তোমার।
রিভিউয়ারঃ রেদুয়ান ফেরদৌস অনন্য
Comments